মোবাইল টাওয়ার দিয়ে ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংযোগ চালু।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশব্যাপী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে মোবাইল টাওয়ারকে ওয়াইফাই টাওয়ার হিসেবে ব্যবহারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।জানা যায়, সপ্তাহখানেক আগে নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর কৃষ্ণপুরে টাওয়ার থেকে ওয়াইফাই করার এ পরীক্ষা করে টেলিটক। এতে আবদুল জব্বার রাবেয়া খাতুন উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিনা মূল্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছেন। এরআগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সরকার দেশের ১৪৬টি সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে বিনামূল্যে উচ্চগতির ওয়াইফাই চালুর কার্যক্রম উদ্বোধন করে। সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে তা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়। ফ্রি ওয়াইফাই চালু হওয়া প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ এমবিপিএস গতির ব্যান্ডউইথ পাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এক বছর পর্যন্ত বিনামূল্যে এই ব্যান্ডউইথ পাবে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যান্ডউইডথের খরচ বহন করবে। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বিনামূল্যেই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয় বলেছিলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে সবার দাবি, স্পেশালি ছাত্রছাত্রীদের দাবি ফ্রি ওয়াইফাই করে দেয়া। সেজন্য এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে । দেশে তরুণদের দাবি সব জায়গায় ফ্রি ওয়াইফাই। সেটা আওয়ামী লীগ সরকার করে যাচ্ছে। এই প্রকল্পটা হল তারই অংশ । রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম বলেছেন, ‘যদি ওয়াইফাই দিতে চাই, তাহলে আমাদের শুরুটা হবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এরিয়ায়। কারণ, এখান থেকে বেশিরভাগ কাস্টমারের ওয়াইফাই ডিমান্ড বেশি। কিন্তু পলিসিতে বলা আছে, ঢাকা ও চট্টগ্রামে অপারেটররা ওয়াইফাই দিতে পারবে না। ওয়াইফাইয়ের ক্ষেত্রে আলাদা করে পলিসি করে আমাদের সে সুযোগটা দেয়া হোক, যাতে আমরা ওয়াইফাইটা মানুষের দরবারে নিয়ে যেতে পারি। এদিকে মোবাইল টাওয়ার ব্যবহার করে ব্রডব্যান্ড মানের ইন্টারনেট দেয়া কঠিন, বলছে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি। সংগঠনটির সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, ‘ওয়্যারলেস টেকনোলজিতে ফাইভ জি না আসা পর্যন্ত এই টেকনোলজি দিয়ে ব্রডব্যান্ড সেবা দেয়া সম্ভব না। এখানে এত লিমিটেড চ্যানেল আছে, লিমিটেড চ্যানেল দিয়ে নাম্বার অব এক্সেস পয়েন্ট ডেপ্লয় করলে ফ্রিকোয়েন্সি ওভারল্যাপিং হবে। প্রিমিয়াম লেভেলে সার্ভিস কোনভাবেই ডেপ্লয় করা সম্ভব হয় না। তবে টাওয়ারে ওয়াইফাই চালু হলেও মোবাইল ডেটা ও ভয়েসে কোনো সমস্যা হবে না। রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম আরও বলেন, ‘আমরা যদি ওয়াইফাই এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক দেই সেক্ষেত্রে ভয়েস বা অন্যান্য জায়গায় সমস্যা হওয়ার কথা না। কারণ ক্যাপাসিটি রেখেই আমারা ওয়াইফাইয়ের জন্য ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করে রাখব। সেক্ষেত্র টেকনোলজিকালি কোনো সমস্যা হওয়ার কারণ নেই।’